শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি::
পবিত্র কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। করোনা ভাইরাসের কারণে কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরুর দাম গত বছরের মতো থাকায় বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো। তবে আরেকটু ভালো দামের আশায় এখনও অনেক বিক্রেতা হাতের রশি ছাড়ছেন না।
বান্দরবানের কালাঘাটার পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কালাঘাটা নতুন ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি খোলা জায়গায় বসেছে অস্থায়ী পশুর হাট। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন কালাঘাটা ‘গরু বাজার’। বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি মিলে ৫ শতাধিক গরু বিক্রেতা গরু বিক্রি করতে এসেছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে বাজারের কেনাবেচা। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গরু বাজারে নিজেদের পালিত গরু বেচতে তাদের অনেকে এসেছেন দূর-দূরান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলো থেকে।
বান্দরবানের কালাঘাটা গরুর বাজারে ক্রেতার অপেক্ষায় দাঁড়ানো এক বিক্রেতা উচিং মারমা বলেন, ‘আমি ছাইঙ্গা থেকে আমার গরু বেচার জন্য নিয়ে আসছি। তবে যতটুকু দাম আশা করছিলাম তার চেয়ে দাম অনেকটা কম। করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা তেমন ভালো দাম পাচ্ছিনা। আরেক বিক্রেতা রহমানের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, এ বছরে দাম অনেকটা গত বছরের মতো কম। তারপরও আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো। তিনি বলেন, আমি দুটো গরু নিয়ে বাজারে আসছি। একটি ৮০ হাজার টাকা ও অপরটি ৭০ হাজার টাকা দাম হাঁকিয়েছি। তবে ক্রেতারা অনেক কম বলছেন। কোরবানির ঈদের এখনো বাকি থাকলেও এরইমধ্যে অনেকে গরু কেনার কাজ শেষ করে ফেলছেন।
কালাঘাটা বাজারে গরু কিনতে আসা একজন ক্রেতা মোহাম্মদ রফিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি আমার গরুটি কালাঘাটা বাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় কিনেছি।
বান্দরবানে অস্থায়ী হাটে হাসিল উত্তোলনকারী মো. নেজাম উদ্দিন জানান, এই হাটে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের গরুর জন্য ৩শ’ টাকা, এর ওপরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের গরুর জন্য ৫শ’ টাকা, ৫১ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা দামের গরুর জন্য ৭শ’ টাকা ও এর ওপরে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের গরুর জন্য ১ হাজার টাকা হাসিল নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে গরু বাজারের আহ্বায়ক অজিত দাশ বলেন, আজ গরু বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা দুটোই বেশি। সকাল থেকে প্রায় শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। তবে ঈদের এখনও দেরি থাকায় পালনের অসুবিধা এবং রবিবার বান্দরবানে পরবর্তীতে বালাঘাটায় গরু বাজার থাকায় বেচাকেনা অনেকটা কম। সামনের দিন বাজারগুলোতে আরও বেশি বেচাকেনা হবে বলেও আশা করেন তিনি।
এছাড়াও গরু বাজারের পাশে জালনোট শনাক্ত করার জন্য ব্যাংকের এজেন্ট ও গরুকে কোনও ধরনের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে কিনা তা শনাক্ত করার জন্য পশু ডাক্তারও রয়েছে।
আমরা সকলে আশা করছি পবিত্র কোরবানিতে সুন্দর করে পশুর বাজার পরিচালনা করতে পারব এবং ক্রেতাসাধারণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী গরু কিনে তাদের কোরবানী উদযাপন করতে পারবে। এ ছাড়া প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তাবিধানে টহলদারিতে রয়েছে।